এবার শীতের দাপট অনেক বেশি হতে পারে
বিশেষ প্রতিবেদন
গত কয়েক বছরে ঢাকাতে ভরা শীত মৌসুমেও শীতের দেখা মেলে না, গায়ে হালকা কিছু জড়ালেই চলে। এবার ভিন্ন কিছু হতে পারে। আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এমনটাই মনে করেন।
দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে এরই মধ্যে শীত নেমে পড়েছে। ২০২১ সালে শীত কিছুটা আগেই নেমে ছিল। গত বছর ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দেশে গত ৩০ বছরের স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে অনেক কম তাপমাত্রা দেখা গেছে। এবারের মৌসুমে কী হবে? এবার না-কি রাজধানী ঢাকাতেও শীতের দেখা মিলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ জানান, পুরো এশিয়াজুড়ে এ বছর শীতের প্রকোপ বেশি হতে পারে। তার সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে এই বছর বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন, সিত্রাং-এর কারণে যে বৃষ্টি হয়েছে সেটা মাত্র একদিনের বৃষ্টি। আমরা যেটা পর্যবেক্ষণ করেছি যে এবছর পুরো কয়েক মাসের বৃষ্টির মৌসুম অনেক শুকনো ছিল। এই বর্ষা মৌসুমে খুব কম বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে যেটা হয়েছে মাটিতে আর্দ্রতা কম, মাটি শুকনো। মাটি ভেজা থাকলে সূর্যের আলোতে এক ধরনের তাপমাত্রা তৈরি হয় যা উপরিভাগকে গরম রাখে, তাপ ধরে রাখে। কিন্তু মাটিতে আর্দ্রতা কম থাকলে সেটা হবে না। মাটির শুকনোভাব শীতের তীব্রতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলছেন, বর্ষা মৌসুমের বায়ু এরই মধ্যে চলে গেছে যা সাধারণত আসে বঙ্গোপসাগর থেকে। বর্ষা মৌসুমের বায়ু চলে যাওয়ার পর শুরু হয় উত্তরের বাতাস যা শীত বয়ে আনে। উত্তরের বাতাস এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে। আর সিত্রাং-এর কারণে কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা বেশ হঠাৎ করে পড়ে গেছে বলে তিনি মনে করছেন। বাতাসে জলীয় বাষ্প কম হওয়ার সঙ্গেও শীতের সম্পর্ক রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে গেলে আবহাওয়া শুষ্ক এবং বাতাস ভারী হয়ে পড়ে। তার ফলেও শীত বাড়ে।
তার মনে, শীত অনেক আগেই চলে আসবে সেটা বলা যাবে না। হয়ত একটু আগে আসতে পারে। যেহেতু কয়েকদিন আগেও অনেক বেশি গরম ছিল তাই এখন হঠাৎ এই হালকা ঠাণ্ডাকে অনেকের শীত বলে মনে হচ্ছে।
সাধারণত ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে এমনিতেই তাপমাত্রা কম থাকে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। আর এ বছর কিছুটা আগেই দেশে শুরু হতের পারে শীতের মৌসুম।